সম্প্রতি নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে নারীদের অবস্থান এবং ব্যাক্তিগত জীবনের অবিজ্ঞতা শেয়ার করেন ঢালিউড তারকা অপু বিশ্বাস। তিনি যখন ঢালিউডে ক্যারিয়ার শুরু করেন তখনকার অবস্থা থেকে বর্তমান সময়ের পরিবর্তন এবং মেয়েদের করণীয় সম্পর্কে বেশ কিছু কথা বলেন তিনি। অপুর কথায় উঠে আসে তার সময়ে ক্যারিয়ারের উঠান পতনের গল্প।
সেসময়কার অশ্লীল সিনেমার চল ছিল বলেও উল্লেখ করেন অপু তিনি বলেন “২০০৬সালে আমি চলচ্চিত্রে পা রাখি। সে সময় অশ্লীলতার থাবা কিছুটা ছিলো। কিছু সিনেমায় নারী শিল্পীদের পোশাক দৃষ্টিকটু ছিলো। আমাকেও তখন কেউ কেউ এ ধরনের পোশাক পরতে বলতেন। আমি এড়িয়ে চলতাম। এ নিয়ে মনোমালিন্যও হয়েছে পরিচালক ও প্রযোজকের সঙ্গে। পোশাক নিয়ে আমাকে প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয়েছে। আমি বিষয়টি রিকভারও করতে পেরেছি।” তিনি আরো জানান “আমার শুরুটা হয়েছিল ভালো একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। ডিপজল ভাইয়ের প্রডাকশন হাউজ ছিলো সেটা। সেখানে আমাকে কেউ এমন প্রস্তাব দেয়নি। এরপর সিনেমা যখন হিট হলো, দর্শকের ভালোবাসা পেলাম”
নিজের ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সিনেমায় শাকিব খানের সাথে করা। তবে এতে সিনেমার ব্যাবসায়িক লাভের পাশাপাশি কিছু ক্ষতিও হয়েছে বলেন তিনি ‘শাকিব খান সবসময় নিজের চরিত্রটাকে বেশি হাইলাইট করতেন। সেক্ষেত্রে কিছুটা ক্ষতি শিকার করতে হয়েছে। ফলে নায়িকা নির্ভর কোনো সিনেমায় এখন পর্যন্ত অভিনয় করা হয়নি।’
বর্তমান সময়ে নারীদের আত্ন শক্তিতে বলীয়ান হয়ে উৎসাহ দিয়ে অপু বলেন “আমরা বাংলাদেশী। আমাদের দেশ পরিচালিত হচ্ছে নারী দ্বারা। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, বিরোধী দলের নেত্রী নারী। ফলে মেয়েরা অনেক সাহসী হচ্ছে। নারী এখন শুধু ঘরের চার দেয়ালে বন্দি নেই। তারা এখন অনেক এগিয়েছে। আমি নারী বলেই সন্তানের মা হয়েছি এবং সন্তানের কারণেই তাকে (শাকিব খান) মানতে হয়েছে আমি তার স্ত্রী। একজন নারী হিসেবে এটা আমি পেরেছি। নারী বলেই আমি প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি যে, আমার বিবাহিত জীবন লুকানোর নয়।”
নারীদের প্রতিবাদ করার আহবান জানিয়ে অপু বলেন “নিজেকে অপরাধী ভাবার মানে হয় না। প্রতিটি নারীকে বলতে চাই, নিজেকে কখনও ছোট মনে করতে নেই। আত্মহত্যার পথে না গিয়ে ঘুড়ে দাঁড়াও। প্রতিবাদ করো। নারী বলেই মাথা নত করে থাকতে হবে এটা ভুল।”