এবারের দূর্গাপূজায় রিলিজ হয়েছে দেব অভিনীত ও প্রযোজিত ছবি ‘ককপিট’। এই মুহুর্তে দেব ভীষণ ব্যাস্ত রয়েছেন এটা নিয়ে। তবে দেবের এই সিনেমার বিরুদ্ধে অনেকেই অবস্থান নিয়েছেন। যার কারনে হল পেতে সমস্যায় পড়েছেন তিনি। এছাড়াও কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘ককপিট’ এর শো।
দেব এক গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার ‘ককপিট’ এর শো জোরজবরদস্তি করে সর্বত্র কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিনেপোলিস আর পিভিআর এ চারটা করে আমার শো ছিল। হাউজফুল ও যাচ্ছিলো। হঠাত আমার শো কমিয়ে একটা করে দেওয়া হল। এখন একটাই ভরসা ওয়ার্ড অফ মাউথ পাবলিসিটি। এভাবে যদি সিনেমাটি এগোয়’।
এবারের পূজায় ‘ককপিট’ এর পাশাপাশি রিলিজ হওয়া ‘ইয়েতি অভিযান’ সিনেমার বিক্রি ‘ককপিট’ এর চেয়ে অনেক বেশি। সেই প্রসঙ্গে দেব বলে, ‘ওরা যত বেশি সংখ্যক হল পেয়ে দর্শককে দেখাতে পেরেছে আমি তা পারি নি। ‘কাকাবাবু’ বা ‘ব্যোমকেশ’ স্রেফ ফ্র্যাঞ্চাইজিই টেনে দেবে। আমার তো মনে হয় দেব অধিকারীকে অনেক বেশি অ্যাপ্রিশিয়েট করা উচিত যে, সে নিরাপদ রাস্তায় না হেটে নতুন কিছু করার ট্রাই করেছে’।
তবে ইন্ডাস্ট্রিতে ভেংক্টেশ ফিল্মসের সাথে দেবের যুদ্ধ নিয়ে অনেক কথাই উঠেছে। দেব জানান যে, তারা তাদের মত সিনেমা রিলিজ করবে আর দেব দেবের মত। এখানে দেবের সাথে তাদের যুদ্ধটা সম্পূর্ন অযৌক্তিক। ভেংক্টেশ এর ‘অ্যামাজন অভিযান’ এর টিজার লঞ্চ করার জন্য দেবকে বলা হলে দেব রাজি হন নি। কারন সেদিনই দেবের ‘ককপিট’ রিলিজ হয়েছে। তবে দেব রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।
সুরুচি সংঘের মন্ডপ থেকে মন্ত্রী অরুপ সরকার বলেছিলেন যে, এবারের পূজায় ‘ইয়েতি অভিযান’ ও ‘বলো দুজ্ঞা মাঈকি’ সিনেমাই সবাই দেখবেন। অন্য কোন সিনেমা দেখার দরকার নেই। অর্থাৎ ‘ককপিট’ সিনেমা না দেখার কথাই বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দেব বলেন, ‘আমি যেই দলের এমপি সেই দলের মন্ত্রীই এই কথা বলেছেন। শুনে খুব খারাপ লেগেছে। এক একটা ফেজে কাছের লোকেরাও বিপক্ষে চলে যায়’।
শোনা যাচ্ছে, মমতা ব্যানার্জির সাথেও দেবের একটি সন্দিহান সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। দেবের দল ছাড়ার ব্যাপার নিয়ে গুজবটি উঠেছে। এই ব্যাপারটিয়ে বানোয়াট খবর বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন দেব।
চারদিক থেকে সব ঘনিষ্ট লোকদের সাথে শুরু হওয়া এমন মনোমালিন্য সম্পর্ক তৈরি হওয়া নিয়ে দেব কোন উদ্যোগ না নিয়ে চুপ রয়েছেন। একটা সময় এই ব্যাপারটি কেটে যাবে এবং সবার সাথে সম্পর্ক ঠিক হয়ে যাবে। এমনটাই আশা করছেন দেব।